অনলাইন ডেস্কঃ কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ক্লের বিশ্বজয়ের ৬০ বছর আজ। ১৯৬৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ২২ বছর বয়সে তিনি সনি লিস্টনকে পরাজিত করে বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন।
১৯৭৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে ৫ দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন। সেই সফরে বাংলাদেশ সরকার তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করেছিলো। এছাড়া ঢাকায় পল্টনের বক্সিং স্টেডিয়ামটিও তার নামে নামকরণ করা হয়।
বাংলাদেশের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘যদি স্বর্গ দেখতে চাও, তাহলে বাংলাদেশে এসো।’
১৯৬৭ সালে আলী তার ধর্মীয় বিশ্বাস ও ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার অংশগ্রহণের বিরুদ্ধতার কারণে সারাবিশ্বে সমালোচিত হয়েছিলেন। মূলত তিনি যে কোনো যুদ্ধের বিরুদ্ধ অবস্থানে থাকতেন। ওইসময় মার্কিন সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তিনি। এর কয়েকদিন পরেই তাকে এই কারনে দোষী সাব্যস্ত করে তার বক্সিং উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়। এরফলে তিনি তার জীবনের সেরা সময়ে পরবর্তী চার বছর কোনো ধরনের বক্সিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি।
আরও পড়ুন বিপিএল দেখতে বসে টিভি বন্ধ করে দেন হাথুরু
১৯৭১ সালে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়। যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিবেকজনিত কার্যকলাপ তাকে তৎকালীন প্রজন্মের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র করে তোলে। বক্সিং জগতে ফিরে এসেই আলী ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ সালে বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেন।
তার পুরো নাম ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়র। ১৯৪২ সালের ১৭ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মেছিলেন তিনি। তার মা ওডিসা গ্র্যাডি ক্লে এবং বাবা ক্লে সিনিয়র। ১৯৭৫ সালে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। কথিত আছে তিনি সুন্নী সুফি শায়খ হিশাম কাব্বানীর হাতে মুরিদ হয়েছিলেন।
১৯৮১ সালে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। এর আগে ৫৬টি খেলায় বিজয়ী হন তিনি। আজ অবধি তিনি ‘সর্বকালের সেরা’ বক্সার।
১৯৮০ সালে তিনি পারকিন্সন্স রোগে আক্রান্ত হন। এরপর ৩২ বছর সেই রোগটিতে ভুগার পর ২০১৬ সালের ৩ জুন ৭৪ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
তথ্যসূত্র: সংগৃহীত
Leave a Reply